স্বদেশ ডেস্ক:
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্ক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে সেখান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। যদিও ওই অঞ্চলে এক সময় আইএসবিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করেছে কুর্দিরা। কিন্তু এখন কুর্দির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করছে তুরস্ক। এমন সময় রণক্ষেত্র ছাড়ছে মার্কিন সেনারা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ কুর্দিরা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পেছন দিক থেকে ছুরি মেরেছে। খবর বিবিসি।
ইউফ্রেতিস নদীর পূর্ব অংশে ‘নিরাপদ এলাকা’ গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ের এরদোগান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন কথোপকথনের পর গত রবিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি স্টেফানি গ্রিশামের বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের নতুন এ অবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়।
এর আগে শনিবার এরদোগান উত্তরপূর্ব সিরিয়ায় সামরিক অভিযান ‘অনিবার্য’ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক একসঙ্গে ওই এলাকায় একটি ‘নিরাপদ এলাকা’ গড়ার পরিকল্পনা করলেও ওয়াশিংটন তা আটকে দিচ্ছে আঙ্কারার এমন অভিযোগের মধ্যেই তুর্কি প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন।
তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি গেরিলাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের হুমকি দিয়ে আসছিল; এ গেরিলারা তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ আঙ্কারার। সিরিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার পেছনে ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের বড় ধরনের ভূমিকা আছে। আইএসবিরোধী ওই লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ কুর্দি গেরিলাদের প্রশিক্ষণ ও সামরিক সহায়তা দিয়েছিল।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়- তুরস্ক শিগগিরই উত্তর সিরিয়ায় তার দীর্ঘ-পরিকল্পিত অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী এই অভিযানে সমর্থন দেবে না কিংবা জড়িত হবে না। আইএসের ‘খিলাফত’ ধ্বংসকারী মার্কিন বাহিনী (তুরস্কের অভিযান চালানো) এলাকাটির আশপাশেও থাকবে না।
এমন পরিস্থিতিতে কুর্দি সংগঠন এসডিএফ বলছে- যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে বেঈমানি করেছে। এর পরও কুর্দিরা সেখানে শক্তিশালী অবস্থান নেবে বলে অঙ্গীকার করেছে তারা। এসডিএফ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিবৃতি পেছন দিক থেকে ছুরি মারা।